বুদ্ধের নিকট শুভ মানবের চতুদর্শ প্রশ্ন

বুদ্ধের নিকট শুভ মানবের চতুদর্শ প্রশ্ন

১। মানুষের অল্পায়ু হয় কেন?
২। মানুষের দীর্ঘায়ু হয় কেন?
৩। মানুষ ব্যাধিগ্রস্ত হয় কেন?
৪। মানুষ নিরোগী হয় কেন?
৯। মানুষ অল্প ভোগ সম্পদশালী হয় কেন?
১০। মানুষ হীন বংশজাত হয় কেন?
১১। মানুষ মহা ভোগশালী হয় কেন?
১২। মানুষের মধ্যে কেহ উচ্চ বংশীয় হয় কেন?
১৩। মানুষের মধ্যে দু®প্রাজ্ঞ হয় কেন?
১৪। মানুষের মধ্যে প্রজ্ঞাবান দেখা যায় কেন?
* মানবগণের মধ্যে এরূপ হীন শ্রেষ্ঠ তারতম্য দেখা যায় কেন?
বুদ্ধের উত্তর : হে শুভ জীবগণ স্বকৃর্ত কর্মই ভোগ করে। স্বীয় স্বীয় কর্মেরই উত্তরাধিকারী হয় কর্মানুযায়ীই জন্ম গ্রহণ করে, কর্মই নিজের বন্ধু স্বরূপ এবং কর্মই নিজের আশ্রয় স্বরূপ। কর্মই সত্তদিগকে হীন শ্রেষ্ঠে বিভাগ করে পন্ডিতাভিমানী শুভ ভগবানের এ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর বুঝতে না পেরে বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করার জন্য পুনঃ ভগবানকে প্রার্থনা করলেন। ভগবান পুনঃ তা বিস্তৃতভাবে বলতে আরম্ভ করলেন।

শুভমানবের প্রশ্নের বিস্তৃত উত্তর
১। প্রাণী হত্যাকারী নর-নারীগণ মৃত্যুর পর তির্যক, প্রেত, অসুর ও নিরয়াদিতে উৎপন্ন হয়। তারা মনুষ্য জীবন লাভ করলেও অল্পায়ু সম্পন্ন হয়। 
২। প্রাণীদের প্রতি মৈত্রী পরায়ন ব্যক্তিগণ মৃত্যুর পর স্বর্গ কিংবা মনুষ্যলোকে উৎপন্ন হয়ে দীর্ঘায়ু সম্পন্ন হয়। 
৩। হস্ত, দন্ত, ঢিল ও অস্ত্রের দ্বারা প্রাণীকে নিপীড়নকারী ব্যক্তিগণ চারি অপায়ে উৎপন্ন হয়। তারা মনুষ্যলোকে উৎপন্ন হলেও দুরারোগ্য পীড়াগ্রস্ত হয়। 
৪। প্রাণীদের প্রতি মৈত্রী পরায়ন ব্যক্তিগণ নিরোগী হন।
৫। ক্রোধান্ধ নর-নারীগণ জন্মে জন্মে বিশ্রী ও কদাকার হয়।
৬। দয়ালু নর-নারীগণ জন্মে জন্মে সুশ্রী ও লাবণ্যময় হয়।
৭। অপরের লাভ সৎকার সম্মান বন্দনা ও পূজা দর্শনে ঈর্ষাপরায়ন ব্যক্তিগণ জন্মে জন্মে পরাক্রমহীন অবহেলার পাত্র হয়।
৮। পরের লাভ সৎকার দর্শনে আনন্দলাভী ঈর্ষাহীন ব্যক্তিগণ জন্মে জন্মে মহাপরাক্রমশালী গৌরবের পাত্র হয়।
৯। কৃপনগণ জন্মে জন্মে ভোগ সম্পত্তি লাভে বঞ্চিত হয়।
১০। দাতাগণ জন্মে জন্মে মহাধনবান হয়। 
১১। অহংকারী ব্যক্তি হীন কুলে জন্মগ্রহণ করে। 
১২। নিরহংকারী নর-নারীগণ জন্মে জন্মে উচ্চ কুলে জন্মগ্রহণ করে।

১৩। যারা কুশলাকুশল সম্বন্ধে জানবার জন্য জিজ্ঞাসা করে না, করতেও চায় না তারা জন্মে জন্মে নির্বোধ হয়।



0 comments: