বৌদ্ধ নারীদের ভিন্ন-ধর্মাবলম্বীর সাথে বিয়ে নিষিদ্ধঃ আইন করছে মিয়ানমার সরকার
ইয়াঙ্গুনের একটি মফস্বল শহরে বাস করেন উইন নিয়াং নামে এক মুসলমান। তাঁর
স্ত্রী বৌদ্ধ এবং তাঁরা ৩০ বছর ধরে সংসার করে যাচ্ছেন। কথা প্রসঙ্গে উইন
নিয়াং জানান, বিয়ের সময় তাঁর কাছে মনে হয়েছিল ধর্ম কোন বিষয় নয়, প্রধান হল
তাঁর স্ত্রীর নৈতিক চরিত্র ও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া। তিনি বলেন, “আমরা
সবসময়ই বোঝাপড়ার মাধ্যমে আমাদের সংসারের সব কাজ করে আসছি”।
তবে এমন ঘটনা হয়তো আর দেখা যাবেনা মিয়ানমারে। বৌদ্ধ ধর্ম ও সমাজের অবক্ষয় রোধ করার লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকার এবার বৌদ্ধ নারীদের ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিয়ে আইন করে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি বিল এখন সংসদে আলোচনাধীন অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় এই বিলটি পাশ হলে বৌদ্ধ নারীরা অন্য ধর্মের কোন পুরুষের সাথে বিয়ে করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
গত বছরের জুন মাসে "আন্তঃধর্মীয় বিবাহ আইন" নামের এই বিলটির একটি খসড়া তৈরী করা হয় এবং তা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে মতামতের জন্যে পাঠানো হয়। মিয়ানমারের হাজারো বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বিরাজমান ১৯৫৪ সালের বিবাহ আইনটি অত্যন্ত দূর্বল বলে মনে করছেন যার প্রেক্ষিতে সম্মিলিতভাবে এই নতুন বিল্টি প্রণয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
প্রস্তাবিত আইন মতে, কোন বৌদ্ধ নারী যদি ভিন্ন ধর্মের কোন পুরুষকে বিয়ে করতে চায় তবে তাকে অবশ্যই তার পিতা-মাতা এবং সরকারের স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মর্তাদের অনুমতি নিতে হবে যা বাস্তবে প্রকারান্তরে অসম্ভবই বলা চলে।
আইনের যে কোন ধারা বিন্দুমাত্র ভঙ্গ হলেই কমপক্ষে ১০ বছরের জন্যে জেল দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত খসড়া আইনে।
এই আইনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ইয়াঙ্গুনের এক বৌদ্ধ ভিক্ষু পামোক্ষা বলেন, “সামাজিক বিধিবিধানের ক্ষেত্রে অন্য ধর্মের আইন-কানুন বৌদ্ধ ধর্মের চাইতে অনেক অনেক বেশী কড়া। আমাদের এই আইনটি অত্যন্ত প্রয়োজন কারন বৌদ্ধ সমাজে নারীদের সুরক্ষায় আমাদের কাছে আর কোন আইনি বিধান এখন পর্যন্ত নেই”।
তবে নারীরাই খোদ এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। এই আইনকে মিয়ানমারের নারী অধিকার কর্মীরা নিজেদের জন্যে অপমানজনক মনে করছেন।
নারীদের অধিকার, শিক্ষা, ও স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে কাজ করেন “জেন্ডার ইকুয়ালিটি নেটওয়ার্ক” –এর সিনিয়র ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন কোর্ডিনেটর মে সাবে ফিউ বলেন, “আমাদের নারীদের দৈনন্দিন জীবনের নিজ নিজ স্বিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নিজেদেরই আছে। সুতরাং কোন সরকার কিংবা ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করার অধিকার নেই”।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও ইতিমধ্যেই এই আইনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ –এর এশিয়া জোনের পরিচালক ব্র্যাড এডামস মনে করেন, বার্মা ঐতিহাসিকভাবেই বহু-সাংস্কৃতিক একটি জাতি। সরকার “আন্তঃধর্মীয় বিয়ে” নিষিদ্ধের যে বিভাজনমূলক আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে সেটা নিঃসন্দেহে আগুন নিয়ে খেলার সমতুল্য।
গত ২০১৩ সালের জুন মাসে এই বিলটি প্রস্তাবিত হওয়ার পর থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ইতিমধ্যে এই বিলের সমর্থনে ৩০ লাখেরো বেশী মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
তবে নারী অধিকার কর্মী মে সাবে ফিউ বিলটি আইনে পরিণত হলেও নানা ধরনের অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় সংঘাতে হাজারো লোকের প্রাণহানীসহ লাখো মানুষ গৃহহীন হয়েছে মিয়ানমারে।
খবরঃhttp://dhammainfo.com
তবে এমন ঘটনা হয়তো আর দেখা যাবেনা মিয়ানমারে। বৌদ্ধ ধর্ম ও সমাজের অবক্ষয় রোধ করার লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকার এবার বৌদ্ধ নারীদের ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিয়ে আইন করে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি বিল এখন সংসদে আলোচনাধীন অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় এই বিলটি পাশ হলে বৌদ্ধ নারীরা অন্য ধর্মের কোন পুরুষের সাথে বিয়ে করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
গত বছরের জুন মাসে "আন্তঃধর্মীয় বিবাহ আইন" নামের এই বিলটির একটি খসড়া তৈরী করা হয় এবং তা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে মতামতের জন্যে পাঠানো হয়। মিয়ানমারের হাজারো বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বিরাজমান ১৯৫৪ সালের বিবাহ আইনটি অত্যন্ত দূর্বল বলে মনে করছেন যার প্রেক্ষিতে সম্মিলিতভাবে এই নতুন বিল্টি প্রণয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
প্রস্তাবিত আইন মতে, কোন বৌদ্ধ নারী যদি ভিন্ন ধর্মের কোন পুরুষকে বিয়ে করতে চায় তবে তাকে অবশ্যই তার পিতা-মাতা এবং সরকারের স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মর্তাদের অনুমতি নিতে হবে যা বাস্তবে প্রকারান্তরে অসম্ভবই বলা চলে।
আইনের যে কোন ধারা বিন্দুমাত্র ভঙ্গ হলেই কমপক্ষে ১০ বছরের জন্যে জেল দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত খসড়া আইনে।
এই আইনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ইয়াঙ্গুনের এক বৌদ্ধ ভিক্ষু পামোক্ষা বলেন, “সামাজিক বিধিবিধানের ক্ষেত্রে অন্য ধর্মের আইন-কানুন বৌদ্ধ ধর্মের চাইতে অনেক অনেক বেশী কড়া। আমাদের এই আইনটি অত্যন্ত প্রয়োজন কারন বৌদ্ধ সমাজে নারীদের সুরক্ষায় আমাদের কাছে আর কোন আইনি বিধান এখন পর্যন্ত নেই”।
তবে নারীরাই খোদ এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। এই আইনকে মিয়ানমারের নারী অধিকার কর্মীরা নিজেদের জন্যে অপমানজনক মনে করছেন।
নারীদের অধিকার, শিক্ষা, ও স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে কাজ করেন “জেন্ডার ইকুয়ালিটি নেটওয়ার্ক” –এর সিনিয়র ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন কোর্ডিনেটর মে সাবে ফিউ বলেন, “আমাদের নারীদের দৈনন্দিন জীবনের নিজ নিজ স্বিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নিজেদেরই আছে। সুতরাং কোন সরকার কিংবা ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করার অধিকার নেই”।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও ইতিমধ্যেই এই আইনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ –এর এশিয়া জোনের পরিচালক ব্র্যাড এডামস মনে করেন, বার্মা ঐতিহাসিকভাবেই বহু-সাংস্কৃতিক একটি জাতি। সরকার “আন্তঃধর্মীয় বিয়ে” নিষিদ্ধের যে বিভাজনমূলক আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে সেটা নিঃসন্দেহে আগুন নিয়ে খেলার সমতুল্য।
গত ২০১৩ সালের জুন মাসে এই বিলটি প্রস্তাবিত হওয়ার পর থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ইতিমধ্যে এই বিলের সমর্থনে ৩০ লাখেরো বেশী মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
তবে নারী অধিকার কর্মী মে সাবে ফিউ বিলটি আইনে পরিণত হলেও নানা ধরনের অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় সংঘাতে হাজারো লোকের প্রাণহানীসহ লাখো মানুষ গৃহহীন হয়েছে মিয়ানমারে।
খবরঃhttp://dhammainfo.com
The 10 best free spins no deposit offers - JTM Hub
ReplyDelete› online-casinos › bonus-promotions 통영 출장샵 › no-deposit-promotions › online-casinos › bonus-promotions 문경 출장샵 › 파주 출장마사지 no-deposit-promotions The best free spins 경기도 출장마사지 no deposit offers are a good way to try out the new no deposit bonuses offers available 동두천 출장마사지 to new players.